অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ – 10 টি সেরা উপায় অনলাইন আয় করার

 অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ – 10 টি সেরা উপায় অনলাইন আয় করার


                                                            Start-That


অনলাইন ইনকাম ২০২৪: বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় একটি জনপ্রিয় আয়ের উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলি একটি চাকরির একটি নির্দিষ্ট বেতন থাকে হয়তোবা ভালো কাজ করলে  দুই এক হাজার টাকা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু অনলাইনে ব্যাপারটা এমন নয়।

অনলাইনে আয় এর কোন লিমিট নেই। অনলাইনে আপনি আপনার স্ক্রিল অনুযায়ী বিশাল পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। যা একটি চাকরি তুলনায় রাত আর দিন।

অনলাইনে একটি কাজে যত দহ্মতা অর্জন করা যায় ইনকাম তত বাড়তে থাকে।

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে অনলাইন ইনকামের মাধ্যমসহ অনলাইনের কোন কাজটি করলে আপনি দ্রুত সফলতা পাবেন এবং দীর্ঘস্থায়ী ও ভালো পরিমাণ অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন তার দিক-নির্দেশনা দেব।

অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

অনলাইন ইনকাম কারা করতে পারবে?

হ্যাঁ, এই প্রশ্নটির উত্তর  অনেকের কাছে অনেক কঠিন মনে হলেও আমার কাছে কিন্তু খুবই সহজ! যে কেউ এসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবে না আমি নিশ্চিত।

কেননা অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে প্রচুর পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। আর যেহেতু অনলাইনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগদ অর্থ পাওয়া যায় না, সে জন্য অনেকেই খুব দ্রুত হাল ছেড়ে দেয়, যা একটি বড় কারণ অনলাইনে সফলতা না পাওয়ার।

সোজাসুজি বলতে গেলে অনলাইনে সফলতা পাওয়ার জন্য শুরুতে মাংনা খাটতে হয় এবং নিজের স্কিল ডেভলপ করতে হয়। কেউ যদি একবার নিজের স্কিল ডেভেলপ করে অনলাইন হতে ইনকাম শুরু করে, তাহলে আমার মতে মনে হয় তার আর পেছনের দিকে তাকাতে হবে না।

অনলাইন ইনকাম ২০২৪ – Online Income

আমরা এই পোস্টে মোট 10 টি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম শেয়ার করেছি। আপনি এই কাজগুলি থেকে যেকোনো একটিকে নির্বাচন করে ভালোভাবে সেটিকে শিখে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম সাইট (Online Income Site)

আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টে অনলাইন ইনকামের উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি অনলাইনে ইনকাম করার বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট শেয়ার করব। সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যদিও শুরুতে আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে তো আর হলো না। ধৈর্য ধরে একবার যদি ইনকাম শুরু করতে পারেন, ওই সকল ওয়েবসাইট থেকে, তাহলে একটা সময়ে গিয়ে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে আয় ২০২৪ (Online Income 2024)

আর আপনার কাছে আমার আগে থেকেই একটা অনুরোধ রইল পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন এবং আপনার কাছে যদি পোস্টটি ভাল লাগে, তাহলে পোস্টটি আপনার পরিচিত অনলাইনে ইনকামের আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে এই পোষ্টটি পড়ে তারা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন, এবং সঠিক কাজটি নির্বাচন করতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য।

অবশ্যই পড়বেন: 


১. ওয়েবসাইট তৈরি করে/ ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম 2024

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম বা ব্লগিং করে অনলাইনে আয় একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমার পরিচিত অনেকেই ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন হতে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করছে। তার মধ্যে আবার কয়েকজনের প্রতিমাসে কয়েক লহ্ম পর্যন্ত ইনকাম আছে। যা একজন সাধরন মানুষের পহ্মে বিশ্বাস করা সম্ভবনয়।

সর্বপ্রথম আমি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করাটা কে আপনার জন্য রিকমেন্ড করব। কেননা এখান থেকে আপনি ভালো পরিমান [ বর্তমান বাজারে চাকরির তুলনায় ] ও পার্মানেন্ট ইনকামের পথ তৈরী করতে পারবেন।

একটা ওয়েবসাইট বানানো খুবই সহজ। একটি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওয়েব-হোস্টিং ও ডোমেইন। তাছাড়াও ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কিন্তু সেটি আমি আপনার জন্য রিকমেন্ড করব না কেননা সেটিতে পরবর্তী সময়ে আপনি বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।

ওয়েবসাইট থেকে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

একটি ওয়েবসাইট থেকে সাধারণত আপনি তিন ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।

  1. গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে।
  2. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
  3. স্পনসর লিংক ব্যবহার করে।

গুগল এডসেন্স  ব্যবহার করে অনলাইনে আয়

আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটর আসবে তখন সেই ভিজিটরের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর রা যখন গুগল এডসেন্সের এড দেখবে বা এডে ক্লিক করবে তার মাধ্যমে আপনার এডসেন্স একাউন্টে $ ডলার যোগ হবে, মানে আপনার ইনকাম হবে।

তবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যা গুগোল তাদের ব্লগে গুগল এডসেন্স এর নিয়ম নীতি শেয়ার করেছে। আপনি চাইলে সেই সকল নিয়ম-নীতি গুগল এডসেন্সের ব্লগ থেকে পড়ে আসতে পারেন।

গুগল এডসেন্স এর জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসা আসা শুরু করবে। আমার মতে, যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অর্গানিক ১০০-২০০ ভিজিটর আসা শুরু করবে,তখনই গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা উচিত।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

২০২৪ সালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করার অন্যতম সেরা উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট লিংক। এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট লাগবে যে ওয়েবসাইটে আপনি অন্য এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করবেন।

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহারকৃত এফিলিয়েট লিংক দিয়ে যে সকল ভিজিটর এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন পণ্য বা জিনিস কিনবে, সেটার নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট আপনার সাথে শেয়ার করবে।এভাবে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

এফিলিয়েট লিংক পাওয়ার জন্য আপনাকে এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইট দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। এফিলিয়েট লিংক এর জন্য আবেদন করার পর, তারা আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ করে দেখবে, যে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট এফিলিয়েট লিংক ব্যবহারের উপযোগী কিনা।

যদি আপনার ওয়েবসাইট উপযোগী হয় তাহলে আপনাকে তারা এই এফিলিয়েট লিংকটিকে অনুমোদন দিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার বা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও করা যায়। আপনি ইচ্ছা করলে সোশ্যাল মিডিয়া বা কিছু ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরীর প্ল্যাটফর্ম কেউ ব্যবহার করতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। তবে নিজের ওয়েবসাইটে করা ভালো।

স্পন্সর লিংক দিয়ে অনলাইনে ইনকাম

ওয়েবসাইট স্পনসর লিঙ্ক হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটের লিংক আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন। সেই লিংকটি হতে পারে ইমেজ লিংক, ডিরেক্ট লিংক, বা আরও অন্যকোন ভাবে। ওই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ওই ওয়েবসাইটের মালিকের কাছ থেকে টাকা পাবেন মাসিক, ক্লিক বা ইমপ্রেশনের উপর নির্ভর করে।

২. ইউটিউব থেকে আয়

আমার জানা মতে অনলাইনে যত ইনকামের পথ রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় অনেক সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী। আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

যদিও ২০১৮ সালে এসে ইউটিউব অনেক কঠিন হয়ে গেছে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য। ২০১৮ সালের পূর্বে ইউটিউবে অনেক খুব সহজেই মনিটাইজেশন পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া একটু কঠিন ব্যাপার।

কেননা একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার পূর্বে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয় যা শুধুমাত্র কঠিন পরিশ্রমের ও ধৈর্য এর মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

ইউটিউব মনিটাইজেশন মানেই ইউটিউবে এডসেন্স। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যখন মনিটাইজেশন থাকবে তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে এড দেখাবে। আপনার ইউটিউব ভিডিও তে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা পাবেন।

তবে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

শর্তগুলো হচ্ছে:

  • গত এক বছরে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ৪,০০০ ঘন্টা দেখতে হবে ও ১,০০০ হাজার সাবস্কাইব অর্জন করতে হবে।
  • আপনার ইউটিউব ভিডিও গুগল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

৩. ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যোসিয়াল মিডিয়া। পৃথিবী মানবের একটি বিশাল অংশ ফেসবুকের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। প্রত্যেক সেকেন্ডে গড়ে ০৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে থাকে।

প্রতিমাসে ২.৫ বিলিয়ন একটিভ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে।  প্রতিদিন ১.৪৫ বিলিয়ন লোক তাদের ফেসবুক একাউন্টে লগিন করে।

ফেসবুক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়া হতে জানতে জানতে পারেন: ফেসবুক সর্ম্পকে বিস্তারিত 

আপনি কিন্তু এই বিশাল সোশ্যাল মিডিয়াকে অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্য ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটা একটু কঠিন। তবে ধৈর্য ধরে সঠিক গাইডলাইনে এগুতে থাকলো খুব দ্রুত ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

ফেসবুক থেকে অনেকভাবে ইনকাম করা যায়। তবে আমি জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো আপনি ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ থেকে আয়

ইউটিউব এর মত ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড দেওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। এটি সাধারণত ভিডিওতে এড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম হয়। তবে ফেসবুক পেজের ভিডিওতে অ্যাড আসার পূর্বে ফেসবুক পেজের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

  • একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।
  • ফেসবুক পেজে এর ফলোয়ার সংখ্যা ১০,০০০ বা এর বেশি হওয়া লাগবে।
  • পেজটির ভিডিওগুলোতে বিগত ৬০ দিনে কমপক্ষে (১ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখা হয়েছে এমন) ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে। যেসকল ভিডিও ৩ মিনিটের বেশি সময়ের, শুধুমাত্র সেগুলোই এক্ষেত্রে হিসাবের ভেতরে পড়বে।

ফেসবুকের এই শর্তগুলো পূরণ করার করার পর আপনার ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে এড আসার উপযোগী হবে। তারপর আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

তারা আপনার ফেসবুক পেজটি রিভিউ করে দেখবে যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর উপযুক্ত হয়, তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ভিডিওতে এড দেবে। আর আপনার ভিডিও গুলোতে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে পেজ দ্বারা অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আমি অনলাইনে অনেক ফেসবুক গ্রুপ দেখেছি, যেগুলিতে কোন ওয়েবসাইটের লিংক বা কোন এড দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়।

যেমন বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। যেগুলোতে বাংলাদেশের অনেক চাকরির ওয়েবসাইট এর মালিকরা তাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে। এবং লিংক শেয়ার করার জন্যে ঐ ফেসবুক গ্রুপ গুলির মালিকদের মাসিক টাকা দিতে হয়।

তবে একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে সেই গ্রুপে প্রচুর পরিমাণে একটিভ সদস্য প্রয়োজন। যা কয়েকজন মিলে লম্বা সময় ধরে কাজ করলে সম্ভব।

একা একটি ফেসবুক গ্রুপকে টাকা ইনকামের পর্যায়ে নিয়ে যেতে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনার কাছের কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে টাকা ইনকামের জন্য একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।

৪. ব্লগে/ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয়

আপনি যদি ওয়েবসাইটের লিখতে পারেন, তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন হতে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে শুরুতে একজন নতুন লুকের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা অনেক কঠিন। তবে আপনি যদি এটা নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করেন, তাহলে খুব দ্রুত এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট পোস্ট লেখা রপ্ত করতে পারবেন।

আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইনে বড় বড় মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারবেন। যেমন: আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এই অনলাইন মার্কেট গুলোতে অনেক বড় একটি ক্যাটাগরি রয়েছে, কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর।

আপনি যদি এস ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট পোস্ট লিখতে পারেন, বা শিখতে পারেন, তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।

আমরা কিছুদিনের ভিতর এই অপশনটি আমাদের ওয়েবসাইটে যোগ করে দেব। যারা আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট দিবে, তাদেরকে পোস্টের মান অনুযায়ি আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবো।

৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

গ্রাফিক্স যাকে বলা হয় “অঙ্কন বিষয়ক জ্ঞান” গ্রাফিক্স ডিজাইন হল এমনি একটি সদৃশ মাধ্যম যার দ্বারা কোন পৃষ্ঠার উপরে (যেমন, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি পর্দার উপর, একটি কাগজের উপর, কিংবা একটি ওয়ালের উপর) ছবি বা নকশা আঁকাকে বুঝায়।  যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং তা আমাদেরকে কোন ভাবার্থ বা বিনোদন অথবা স্বচিত্রক ভাব প্রকাশ করে ।

আপনি যদি একজন ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারেন, তাহলে আপনি প্রতিমাসে হাজার ডলার তারওে বেশি আয় করতে পারবেন।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন  গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিটোরিয়াল দেখে শিখতে পারবেন। যদি আপনার এই কাজ শিখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশ্বস্ত আইটি কোম্পানির অধীনে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে কোর্স করতে পারেন।

  •  গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? | গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সহজ উপায়!!

৬. ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইনিং হল ওয়েব সাইটের জন্য লেআউট, কনটেন্ট প্রোডাকশন, ওয়েবপেইজ ইত্যাদি ডিজাইন করে দেওয়া। ওয়েব ডিজাইনিং এর অনেক মূল্য বর্তমান বাজারে অনেক।

 যতগুলি ওয়েবসাইট আছে প্রত্যেক ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন হয়।

যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট কেউ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই একজন ওয়েব ডিজাইনার এর সাহায্য নিতে হবে।

ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনারের ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অনেক মূল্য। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের রেটও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

যদি ভালোভাবে ডিজাইন শিখতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। এবং যা হবে আপনার জন্য দীর্ঘস্থায়ী অনলাইন ইনকামের পথ।

যদি আপনার এই কাজ শিখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন  গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিটোরিয়াল দেখে শিখতে পারবেন।

আর আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশ্বস্ত আইটি কোম্পানির অধীনে ওয়েব ডিজাইন এর উপরে কোর্স করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন শেখার সেরা ফ্রি ওয়েবসাইট হচ্ছে: www.w3schools.com

  •  ওয়েব ডিজাইন কি? | ওয়েব ডিজাইন শেখার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন

৭. প্রোগ্রামিং

প্রোগ্রামিং এর সংজ্ঞায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিকশনারি অনুসারে,

“প্রোগ্রামিং হল কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখার জন্য করা ক্রিয়াকলাপ।”

কম্পিউটার কত রকমের কাজ করে। ছবি ভিডিও সেভ করা থেকে এক্সেল শিট এর হিসাব রাখা এসব কাজই কম্পিউটার করতে পারে। কিন্তু কম্পিউটার কি এসব নিজে থেকে করতে পারে?

না, কম্পিউটার অবশ্যই এসব নিজে থেকে করে না। এজন্য তার মধ্যে অবশ্যই এই প্রোগ্রাম গুলো সেট করে দিতে হবে।

মানুষ যেমন একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে, কম্পিউটার কেও ঠিক নির্দেশনা দেবার জন্য সুনির্দিষ্ট ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করতে হয়। C++, Python এরকম কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যার সাহায্যে কম্পিউটার কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার কম্পিউটার কে এমন ভাবে নির্দেশনা দিবে যার ফলে কম্পিউটার বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন কে কাজ করাতে পারবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে উচুদরের কাজগুলো র মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অন্যতম। একজন প্রোগ্রামার অনেক সময় ধরে এসব প্রোগ্রামিং এর কাজ শিখে কম্পিউটার কে নির্দেশনা দিতে পারে কোন এপ্লিকেশন রান করাবার।

আপনি যদি একাডেমিক ভাবে প্রোগ্রামিং শিখতে চান তাহলে আপনি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ পড়তে পারেন। এই ডিপার্টমেন্টে আপনি সার্টিফিকেট পাবার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।

তাছাড়া ইউটিউব ঘাটা-ঘাটি করে আপনি শিখতে পারেন। আর যদি অনলাইন কোন কোর্স করতে চান তাহলে আমি Udemy, Udacity, coursera এই ৩ টি ওয়েবসাইট রিকমেন্ড করব।

প্রোগ্রামিং এর কাজ শেখা সময়সাধ্য হলেও আপনি প্রোগ্রামিং এর কাজ ভালভাবে শিখলে আপনার জন্য খুলে যাবে অবারিত সুযোগ। তখন আপনি প্রোগ্রামিং করেই ভালো পরিমানে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

৮. ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে বিখ্যাত চাকরির ওয়েবসাইট লিংকড ইন এর কথা আপনারা অবশ্যই সবাই শুনেছেন।  এই ওয়েবসাইটে সবচাইতে বেশি যে চাকরির জন্য চাওয়া হয়েছে তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এক কথায় সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন। তবে আমি আপনাদেরকে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পোস্ট করে পণ্যের প্রচারণা, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিয়ে পন্যের প্রচার করা এবং এসব স্ট্র‍্যাটেজি প্রণয়ন করা সম্পর্কিত বিষয় হল ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আপনি যদি ডিজিটাল ডিজিটাল মার্কেটিং সাইটে আসতে চান তবে প্রথম দিকে আপনার একটু স্ট্রাগল অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সুখবর হচ্ছে আপনি যত বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ হবেন আপনার কাজের মূল্য তত বাড়বে।

  •  ডিজিটাল মার্কেটিং কি? | কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

৯. ট্রান্সলেশন

ট্রানসলেশন অনলাইনে বিভিন্ন রকম ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে ট্রান্সলেশন এর জন্য অনেক বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। 

আমি প্রথমেই বলেছিলাম কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য এখানে বিশেষ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় বলা থাকবে।

তাদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ হল -কওমি মাদ্রাসার দুটি ভাষা সাধারণত পড়ানো হয় বাংলা ভাষার সাথে। 

আরবি এবং উর্দু। উর্দু সব জায়গায় পড়ানো না হলেও আরবি ভাষা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই জানে।

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই আরবী থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ অথবা আরবী থেকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে। 

পাশাপাশি যাদের অন্য কোন ভাষায় দক্ষতা আছে যেমন জার্মান চাইনিজ জাপানি ভাষা থেকে তারা বিভিন্ন রকম ডকুমেন্ট অনুবাদ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে অনেক টাকা। 

ট্রানসলেশন অনলাইন থেকে ইনকাম এর একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

আপনি যদি ভাষা জানেন তবে মোবাইলে ই ট্রান্সলেশন করতে পারবেন । ল্যাপটপ বা পিসির দরকার পড়বে না। এভাবে ট্রান্সলেশন এর মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

সহজ একটি সহজ মাধ্যম বললাম এই কারণে যে আপনি যদি ইংরেজি বাংলা এবং পাশাপাশি অন্য একটি ভাষা জানেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ট্রান্সলেশন এর কোন কাজ পেয়ে যাবেন।

১০. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হল এমন ধরণের কাজ যা একজন এসিস্ট্যান্ট এর কাজের মতই কিন্তু পার্থক্য হল ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ ঘরে বসেই করা যায়। ঘরে বসে চাকরি করা যায় ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে।

একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর যোগ্যতা তত বেশি হবে যত বেশি তার মাল্টিটাস্কিং ক্ষমতা হবে।

একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কে যা জানতেই হবে তা হলঃ

  • ই-মেইলের ব্যবহার।
  • যোগাযোগ করার দক্ষতা।
  • বেসিক ডাটা এন্ট্রি স্কিল।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ এর ক্ষেত্র ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত।

একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর মালিকের কথাই চিন্তা করুন না। প্রতিদিন ক্লায়েন্ট দের কত মেইল, ফোন, অভিযোগ তাকে শুনতে হয়। একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করতে পারে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হবার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে আবেদন করা যায়।

যত বেশি কম্পিউটার এ দক্ষ কেউ হবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কারণ, কাজটি পুরোটা কম্পিউটার নির্ভর।

তাই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে যত বেশি সম্ভব স্কিল শিখুন। যেমন আপনি যদি টাইপিং এর কাজ খুব ভাল পারেন, তাহলে ফটোশপ এর কাজও শিখুন পাশাপাশি। 

প্রথমেই বলেছিলাম ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল মাল্টিটাস্কিং। কাজেই ক্লায়েন্ট এমন কোন কাজ দিয়েই দিতে পারে যেটা তার জব কন্ডিশন এ সে উল্লেখ করে নাই।

তখন যদি আপনি কাজটি না জানেন তখন আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। তাই যত বেশি কম্পিউটার এর বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানবেন আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনা তত বেশি বাড়বে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ও একটি ফ্রিল্যান্সিং জব। আপনি বাংলাদেশে বসেই আমেরিকার কোন ক্লায়েন্ট এর ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে পারবেন।

এভাবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post